দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার এখন এক হাজার ২১৯ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ২৫৪ টাকা। সে হিসাবে ১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৩৫ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ দাম ঘোষণা করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ দাম কার্যকর হয়।
৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য পরিমাণের এলপিজি কন্টেইনার যৌক্তিকভাবে নতুন হারে বিক্রি করা হবে বলে জানান বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটর গাড়ির জন্য অটো গ্যাসের দাম কমিয়ে প্রতি লিটার ৫৬ দশমিক ৮৫ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৫৮দশমিক ৪৬ টাকা।
আবদুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম কমলেও স্থানীয় বাজারে ডলারের দাম বেশি থাকায় নিম্নমুখী প্রবণতার পুরো সুবিধা পাচ্ছেন না ভোক্তারা। অপারেটরদের আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলপিজি আমদানি করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ডলারের হার মানছে না। বরং তারা চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে ডলারের দাম নির্ধারণ করে। ব্যাংকগুলো ডলারের রেট হিসাব করেছে ৯৮ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেট ছিল অনেক কম।
আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো আমাদের চিঠির জবাব দেয়নি।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৩৯ টাকা (১২ কেজি) হয়ে যায়।
এই বছরের জানুয়ারিতে ১২ কেজি এলপিজির দাম সর্বনিম্ন এক হাজার ২২৫ টাকা ছিল। এর পর থেকে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে ক্রমাগত এলপিজির দাম বৃদ্ধি হয়।
আবদুল জলিল বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌদি সিপির (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) দাম কমেছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি এলপিজি অপারেটররা মূলত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে গ্যাস আমদানি করে।
বিইআরসি প্রথমবারের মতো হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলার জন্য গণশুনানির পর ১২ এপ্রিল খুচরা-পর্যায়ে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।