২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের করা পৃথক দুটি রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির জন্য উঠছে। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও্র পড়ুন: আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা ও এর অধীনে মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে প্রাথমিক মুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।
এর প্রায় ১৫ বছর পর রিট মামলাগুলো চূড়ান্ত শুনানির জন্য মেনশন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আরও্র পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই সময় ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে ডা. জোবায়দাকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন ডা. জোবায়দা। যেটি গত ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়ে যায়।