অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' ভিশন বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি চারটি মূল স্তম্ভ- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বৃক্ষরোপনের জায়গা নির্ধারণে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী মাহমুদ আলী মনে করেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ'র অধীনে দেশের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে সাড়ে ১২ ডলারে পৌঁছাবে, জনসংখ্যার ৩ শতাংশের কম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করবে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল হবে।
মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বাজেট ঘাটতিও জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। রাজস্ব ও জিডিপির অনুপাত ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বিনিয়োগ জিডিপির ৪০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জনের লক্ষ্যও রয়েছে।
মন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, 'স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজলভ্য হবে এবং স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও টেকসই নগরায়নসহ প্রয়োজনীয় সেবাগুলো সরাসরি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’
একটি ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাগজবিহীন এবং নগদবিহীন সমাজ গঠনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা ন্যায়বিচার ও সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। বাংলাদেশের মানুষ বুদ্ধিমান, সৃজনশীল ও পরিশ্রমী।’
প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে অর্থমন্ত্রী আস্থা ব্যক্ত করেন। এ লক্ষ্যে বৈষম্যহীন, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা সতর্কতার সঙ্গে প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী