ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপপরিচালক বেনজির আহমেদ।
দুদক ৪ ডিসেম্বর এ অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছিল।
অভিযোগপত্রে থাকা বাকি ১০ জন হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি একেএম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ভুয়া ঋণের নামে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে গত ১০ জুলাই এ মামলা করে দুদক। সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেছিলেন।
চার কোটি টাকা সিনহার অ্যাকাউন্টে (সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায়) স্থানান্তরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাকে তলব করে দুদক।
সেই সাথে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেয়া এবং সেই টাকা একজন ভিভিআইপির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগে চলতি বছরের ৬ মে মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা নামে দুজন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
দেশের ইতিহাসে প্রথম অমুসলিম প্রধান বিচারপতি সিনহা ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর ছুটিতে যান এবং ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা হন।
বিদেশ যাওয়ার আগে সিনহা সাংবাদিকদের জানান, তিনি অসুস্থ নন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটিতে যাচ্ছেন।
সিনহা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পরের দিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়, সিনহা দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয় ও অর্থপাচারসহ ১১ অভিযোগে অভিযুক্ত।
নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস আগে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ জুন তিনি কানাডার ফোর্ট এরি শহরে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেন বলে দেশটির অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য স্টারের খবরে বলা হয়।