ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার পাঁচদিন পর চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ছোট বলদিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ীর লাশ ফেরত দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে মুনতাজের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে লাশটি দর্শনা থানা পুলিশ জিম্মায় নেয়।
নিহত মুনতাজ আলি (৩৫) হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইনস্পেক্টর মহেশ রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিজিবির-৬ ব্যাটালিয়ন সহকারি পরিচালক ইমরান শেখ পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
এবিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াকের সরকারি নাম্বারে একাধিক কল করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দর্শনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
তিনি জানান, দর্শনা পুলিশ লাশ হস্তান্তরের পর নিহতের পরিবারের কাছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ দিন পর লাশ হস্তান্ত করল বিএসএফ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারত সীমান্তে যান মুনতাজ হোসেনসহ তার সঙ্গীরা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালালে মুনতাজ নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরদিন রবিবার সকালে ভারত সীমান্তের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। ওইদিনই বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক