দেশে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুবই নিরাপদ। ইউএসএ তে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেই টিকাগুলো এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে।২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রমে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে ছেলে মেয়েরা প্রায় সমান সমান হলেও বুস্টার ডোজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও অনেক মেয়ে বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা টিকা দিতে পারি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু থেকেই একটা চেইন মেইনটেইন করে টিকা যখন দিয়েছি। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধদের আগে টিকা দিয়েছি। ফ্রন্টলাইনারদেরও আগে দিয়েছি।সবশেষে এখন শিশুদের টিকা হাতে পেয়েছি, তাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।
শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দিতে হবে। এই শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় চার কোটি ৪০ লাখ টিকা লাগবে। আমরা ইতোমধ্যেই ৩০ লাখের মতো টিকা হাতে পেয়েছি। বাকি টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে দিবে বলে নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক