দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বুধবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর বিকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে আলাদা একটি প্রজ্ঞাপনেও তা নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে আরোপিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওয়াতায় ১-৭ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৫.১৩ শতাংশ, মৃত্যু ১১৫
এর আগে সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে, আদালত সমূহের ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালানার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি, শপিংমল/মার্কেটসহ দোকানপাট, সকল প্রকার বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সকল প্রকার জনসমাবেশ ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য, খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সংশ্লিষ্ট কাজ, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, সকল গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক যাতায়াত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: অকারণে বের হলে গ্রেপ্তার, ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি
পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সকল পরিবহন, সকল বন্দর (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল), শিল্প-কলকারখান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এছাড়া, কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। করোনার টিকা গ্রহণ, হোটেল-রেস্তোরা থেকে খাবার ক্রয় এবং বিদেশ যাত্রায় বাঁধা থাকছে না।