প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশের অর্জনের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয় তারাই ‘জমির আগাছা’ এবং জনগণকে ভাবতে হবে তারা এই দলকে নিয়ে কী করবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন, দেশের জমি এতই উর্বর যে প্রচুর ফসলের সঙ্গে আগাছাও হয়। এটাই বাস্তবতা; এই আগাছাগুলো থেকে যাবে। তবে বাঙালিদের ভাবতে হবে তারা এই আগাছাগুলো দিয়ে কী করবে।’
মঙ্গলবার অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যখনই বাঙালি কিছু অর্জন করেছে বা মর্যাদা অর্জন করেছে বা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাঙালিদের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে যাদের কাছে এই অর্জনগুলো গর্ব করার মতো কিছু নয়। তারা পরাধীনতার শৃঙ্খলে থাকতে পছন্দ করে।’
তিনি বলেন, মানুষের একটি অংশ আছে, তারা কখনই আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে জানে না, তারা তাদের মর্যাদা বিক্রি করেই সন্তুষ্টি পায়।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সেই শ্রেণি এখনও আমাদের সমাজে রয়ে গেছে……. এমনকি সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করে আমাদের দেশের কিছু মানুষ অন্ধই থেকে যায় এবং তারা কখনও উন্নয়ন দেখতে পায় না।’
তিনি বলেন, এসব অর্জনের কথা বলতে গিয়ে এই অংশের মানুষ বিব্রতবোধ করে। এই ধরনের মানুষেরা কেন এমন মানসিকতা রাখে বুঝতে পারছি না।
প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও অবদানের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করে উল্লেখ করেন যে, বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আফসোসের বিষয় যে, দেশের এই বুদ্ধিজীবী মহল কখনোই (বঙ্গবন্ধুর) এই অবদানের যথাযথ কৃতিত্ব দেয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, তৎকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা শাখার রিপোর্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ধরা পড়ে।