সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী রবিবার রাতে ঝিনাইদহের নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত চঞ্চল চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মাধবপুর গ্রামে।
সোমবার ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'চঞ্চল চক্রবর্তী তার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।'
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
এদিকে ব্যক্তিগত হতাশার কারণেই চঞ্চল আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তার বাবা শিবপ্রদীপ কুমার চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, 'রবিবার রাত ১২টায় খেলা দেখে চঞ্চল ক্লাস নাইনে পড়ুয়া তার ছোটভাই চয়নকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। সকাল ৭ টায় চয়ন উঠে দেখে গলায় গামছাবাঁধা অবস্থায় ঝুলে আছে চঞ্চল।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আজহারুল আরাফাত বলেন, 'রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন চঞ্চল। যতটুকু জেনেছি তার বন্ধু-বান্ধব পাশ করে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী হলেও ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের সাথে অধয়নরত ছিলেন তিনি। তার পড়াশোনা এখনও চলমান রয়েছে। তাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন চঞ্চল।'
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে না
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর বলেন, 'ঘটনা জেনেছি। খুবই দুঃখজনক। চঞ্চলের এমন সিদ্ধান্তে আমরা শোকাহত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের প্রতি এমন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।'