পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, শুক্রবার মুক্তির পর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ দর্শকদের মন জয় করছে।
আইজিপি বলেন, দুই ঘন্টা ২১ মিনিটের চলচ্চিত্র হওয়া সত্ত্বেও এটি দর্শকদের মনোযোগ রাখতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার এবং সাসপেন্সে ভরপুর ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। ভিএফএক্স, সাউন্ড কোয়ালিটি, অভিনেতাদের পারফরম্যান্স – সব মিলিয়ে ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর সাফল্যের পরিমাণ বেশি।
শুক্রবার বিকালে বসুন্ধরা সিটি মলের স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমা দেখার পর বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি
তিনি বলেন, ‘আমাদের র্যাব সৈন্য ও কর্মকর্তারাও দারুণ কাজ করেছে। বিভিন্ন উপায়ে অপারেশনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি দেখার পরে দর্শকরা আমাদের অফিসারদের কুশলতা ও দক্ষতা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে। ’
‘অপারেশন সুন্দরবন’- এর গল্প উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, দস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত সুন্দরবনে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে র্যাব অভিযান শুরু করে। অফিসার ও সৈন্যদের দক্ষ ও চৌকস অভিযানের মাধ্যমে সুন্দরবনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর মাধ্যমে সেই সাফল্যের গল্প জাতির সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছিলাম।
তিনি বলেন, তবে, একটি চলচ্চিত্র দিয়ে শুধুমাত্র র্যাবের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব নয় এবং আমি মনে করি এই চলচ্চিত্রটি আংশিকভাবে র্যাবের অনেক সাফল্য তুলে ধরে। ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনার পর আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনকে সুন্দরবনে যেতে, সেখানে থাকতে, ভাওয়ালী, মধু সংগ্রহকারী, জেলেসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে চিত্রনাট্য লিখতে বলেছিলাম। দীপন সেই পরামর্শ অনুসরণ করেছিলেন।
বিদায়ী আইজিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রায় ৪০ বছর সুন্দরবন ছিল ডাকাতদের অভয়ারণ্য। র্যাব তাদের হাত থেকে সুন্দরবনকে মুক্ত করার পাশাপাশি একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, আগে আমি যখন দীপনের সঙ্গে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এ কাজ করেছি, তখন পুলিশ কমিশনার ছিলাম। আর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ পরিকল্পনা করার সময় আমি র্যাবের মহাপরিচালক(ডিজি) ছিলাম। ছবিটি মুক্তির সময় আমি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক, কমান্ডার খন্দকার আল মঈন; র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রাইসুল আজম; প্রযোজক অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী তানজিকা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এ হক অলিক, অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদয় হক, রায়হান রাফি এবং ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি