‘হিজড়া’ বলে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় শিশু শুভকে হত্যা করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অভিযুক্ত সজল ব্যাপারী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সজল। জবানবন্দি রেকর্ড করেন খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
নিহত শুভ হাওলাদার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত সজল খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে।
এদিকে, এ মামলায় সজলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। তাদের তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ১
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) সুকান্ত দাস জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার পরে নিহত শুভ বালুর মাঠের দিকে খেলতে যায়। এ সময় আসামি সজল ব্যাপারী শুভকে হিজড়া বলে ডাকতে থাকে। এতে শুভ ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি সজলকে গালিগালাজ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সজল শুভকে লাথি মারে,এরপর ইট দিয়ে তার মাথা ও মুখে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে। শুভকে হত্যার পর সজল গোপালগঞ্জ গিয়ে আত্মগোপন করে। ঘটনার দিন বিকালে সজলের ঘর থেকে তার রক্তমাখা প্যান্ট ও গেঞ্জি উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআই সুকান্ত দাস আরও জানান, পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। সোমবার রাতে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর তীরে মধুপুর গুচ্ছগ্রাম থেকে পুলিশ সজলকে গ্রেপ্তার করে। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চায়। তাই সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুভকে রবিবার দুপুরে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজের ১৪ নম্বর রোডস্থ ফাঁকা স্থানে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনায় রবিবার রাতে নিহত শুভর মা তিনজন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মমতাজুল হক বলেন, স্কুলছাত্র শুভ হাওলাদারকে হত্যার ২০ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামি মো.সজল ব্যাপারীকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, তাকে গালিগালাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে একাই শুভকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা: আটক ৪