দেশের অন্যতম সবজি উৎপাদনকারী এ জেলায় উৎপাদিত সবজি ও কাঁচা মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় চালান করা হয়ে থাকে। কিন্তু গত ৪-৫ দিন ধরে মাগুরা পাইকারি বাজারের নিকটবর্তী শহরের সব কাঁচাবাজারে সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। বিশেষ করে শহরের পুরান বাজার, নতুন বাজারসহসহ ছোট-বড় ৫-৬টি খুচরা বাজারের বিক্রেতারা অতিরিক্ত দামে সবজি বিক্রি করছেন। কিন্তু এসব বাজরের পাশেই পাইকারি আড়তে সবজির ব্যাপক সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
মাগুরার পাইকারি আড়তের পাশপাশি খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরের বেগুন খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ১০ টাকার টমেটো ৪০ টাকা, ১৮ টাকার পটল ৪০ টাকা, ২০ টাকার করলা ৫০ টাকা, ৮ টাকা কেজির কুমড়া ২৫ টাকা, ৮ টাকার পুঁইশাক ২০ টাকা, ১০ টাকা কেজির লাল শাক ২৫ টাকা, ২৫ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, ৬৫ টাকা কেজির ধনে পাতা ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ টাকা হালির লেবু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
এছাড়া অতি প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দামও পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে অনেক বেশি।
শহরের প্রধান পাইকারি আড়ত একতা কাঁচাবাজারের সভাপতি আকরাম হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের আড়তে সবজির ব্যাপক সরবরাহের পাশাপাশি দামও কম। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পাইকারি আড়তের চেয়ে খুচরা বাজারে সবজি দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে করে দেশের এ দুর্যোগের সময়ে সাধারণ ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। মূলত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বাজার তদারকির না করায় এ অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে।’
তবে আব্দুল হালিম ও আলমগীর হোসেনসহ খুচরা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে করোনা সংকটের মধ্যেই রাস্তায় বসে তারা ব্যবসা করছেন। আড়তের দাম ও পরিবহন খরচের পাশাপাশি সবজি পচনশীল হওয়ায় সঠিক দামেই তা বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরার উপপরিচালক মামুনুল হাসান বলেন, ‘বাজারে সবজিসহ সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী পরিবহন খরচসহ ব্যবসায়ীরা ৮ শতাংশের বেশি লাভ করতে পারবেন না।’
এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।