এসব বিদ্যালয়ের কোন কোনটিতে ৫ থেকে ১০ বছর ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে টিউবওয়েল ও শৌচাগার। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
সরেজমিনে রায়পুর উপজেলার পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে গত ১০ বছর ধরে নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও শৌচাগার। এতে বিপাকে রয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
টয়লেটের জন্য অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ছুটে যেতে হয় আশপাশের বাড়ি কিংবা পার্শ্ববর্তী ফসলী জমি বা বাগানে। একই চিত্র চরমোহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলক্ষ্মী, কেওরাডগি, দক্ষিণ পশ্চিম উদমারা, উত্তর চরবংশী ও পশ্চিম চরকাচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
শিশু শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ে তাদের পানি খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এছাড়া টয়লেট না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়গুলোতে টিউবওয়েল ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এজন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
বিষয়টি স্বীকার করে রায়পুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেএম মোস্তাক আহমেদ জানান, রায়পুর উপজেলায় ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে গত ১০ বছর ধরে ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুপেয় পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তবে বিদ্যালয়গুলোতে শিশু শিক্ষার্থীরা যেন সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারে করতে পারে সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর আনা হবে এবং দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।