সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বর্ণালংকার তৈরির কাজে দোকানিরা এই নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের স্বর্ণের দোকান। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরের খান মার্কেট, আলী মার্কেট, রাধানগর, পাকাপোল মোড়, নারিকেলতলা খাল পাড়সহ সদর উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বেআইনিভাবে এই বিষাক্ত নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও কলারোয়া, তালা, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের গড়ে ওঠা ছোট-বড় স্বর্ণের দোকানে ব্যবহৃত হচ্ছে এই বিষাক্ত নাইট্রিক এসিড। এতে দোকানিসহ আশেপাশের জনসাধারণের মানবদেহের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তবে এই এসিড ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা মানছে না কেউই। এটি ব্যবহারের জন্য আলাদা কক্ষ ও চিমনি ব্যবহার করার বিধি থাকলেও অধিকাংশ দোকানে তা দেখা যায়নি। ফলে উন্মুক্ত অংশে নাইট্রিক এসিড ব্যবহার জনসাধারণের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবাধে নাইট্রিক এসিড ব্যবহার হওয়ায়, এই এসিডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্বর্ণ কারিগরদের জন্য আবাসিক এলাকার বাইরে কারখানা স্থাপনসহ এই নাইট্রিক এসিড ব্যবহারের ওপর শর্তারোপ করার জন্য জেলা প্রশাসক ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি দাবি জানায়িক ভুক্তিভোগীরা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি গৌর দত্ত বলেন, অলংকার বানানোর জন্য আমরা নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করে থাকি। এটা আমরা অতি সাবধানতার সাথে ব্যবহার করি, যাতে অন্যের ক্ষতি না হয়।
এদিকে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন বলেন, নাইট্রিক এসিড একটি সক্রিয় খনিজ এসিড। এই এসিডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেজন্য উন্মুক্ত স্থানে না করে আলাদা কক্ষ বা চিমনির মধ্যে এটি ব্যবহার করতে হবে।