স্থানীয়রা জানায়, এই ইউনিয়নে ২০টি গ্রাম রয়েছে। এখানে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এই এলাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো খেলার মাঠ নেই। এছাড়া পুরো লাকসাম উপজেলায় কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। পাশে রয়েছে লাকসামের গোবিন্দপুর, আজগরা ইউনিয়ন ও মনোহরগঞ্জের খিলা ইউনিয়ন।
গ্রামবাসীরা মনে করছেন, এখানে খেলার মাঠ গড়ে উঠলে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকলে স্থানীয় যুবকরা মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকবে। একই সাথে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। তাই মনপাল গ্রামে একটি খেলার মাঠ আর বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
তাদের দাবির কথা জানতে পেরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম প্রমুখ সম্প্রতি মনপালের খাস জমিটি পরিদর্শন করেছেন।
গ্রামের ফুলকলি বিদ্যানিকেতনের পরিচালনা কমিটির সভাপতি লতিফুর রহমান খোকন ও উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মাসুদুল হক বলেন, গ্রামটির চারদিকে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে খেলার মাঠ আর বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন এখন সময়ের দাবি। গ্রামের উত্তর দিকের সড়কটি প্রসারিত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সড়কটি প্রসারিত হলে খেলার মাঠ আর বিনোদন কেন্দ্রে পুরো উপজেলা থেকে লোকজন আসতে পারবে।
গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও এলাকাবাসী এখানে খেলার মাঠ আর বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। এখানে বিনোদন কেন্দ্র হলে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম বলেন, সাত একরের মধ্যে চার একর জমি লাগোয়া। এখানে খেলার মাঠ আর বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। বিনোদন কেন্দ্র বলতে লেকে বোট আর পাড়ে বেঞ্চি স্থাপন করা হবে। লেকের ওপর হাতিরঝিলের মতো ব্রিজ করা যেতে পারে। এ নিয়ে পরিকল্পনার নকশা মন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কাগজপত্র তৈরি করছেন বলেও জানান।