ছোট ব্যবসায়ী হাসান চৌধুরী কোভিডের উপসর্গ নিয়ে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। চিকিৎসা বাবদ ৪ লাখ টাকার বেশি বিল পরিশোধ করে হাসানের মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা পরিবারের কাছে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
এক বছরের মধ্যে হাসানের পরিবারে এটি দ্বিতীয় ধাক্কা। গত বছর তার স্ত্রী কিডনি সমস্যায় ভুগে এক মাস হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মার যান। তখন স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমস্ত সঞ্চয় শেষ হবার পর তারা ঋণ নিয়েছিলেন।
নিহতের ভাই ইউএনবিকে বলেন, চৌধুরীর মৃতদেহ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়েছিল। পরে নিকটাত্মীয় এবং পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় তার মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বয়স ৭০ এর কাছাকাছি এবং তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত বছর তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। কোভিডের উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তার ছেলে অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর সরকারি হাসপাতালে শয্যা পেতে ব্যর্থ হয়ে তাকে পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেয়া হয়।’
নিহতের ভাই বলেন, ‘চৌধুরী বেশ কিছুদিন আইসিইউতে ছিলেন কিন্তু কোনো বড় চেক-আপ করা হয়নি। তিন দিন পর আমাদের অনুরোধে চিকিৎসকদের একটি দল তাকে দেখেন এবং আইসিইউ থেকে একটি কেবিনে স্থানান্তরের সুপারিশ করেন। একদিন পর অবস্থা সংকটাপন্ন বলা হলে তাকে আবার আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দু’দিন পর আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।’
‘ পাঁচ দিনের চিকিৎসার জন্য আমাদের ৪ লাখের বেশি বিল দেয়া হয়েছে। একদিনে তাৎক্ষণিকভাবে এত টাকা জোগাড় করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ রিলিজ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে নিকটাত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগতিায় তার লাশ এনে দাফনের ব্যবস্থা করি,’ বলেন নিহতের ভাই।