শস্য সরবরাহ অবরোধ এবং সম্ভাব্য বৈশ্বিক খাদ্য সংকট রোধে একটি চুক্তির অধীনে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া প্রথম জাহাজটি সোমবার তুরস্কে তার গন্তব্যে পৌঁছেছে।

তুরস্কের পতাকাবাহী পোলারনেট ১২হাজার টন ভুট্টা নিয়ে ৫ আগস্ট চোরনোমর্স্ক থেকে যাত্রা করার পর ইজমিট উপসাগরের ডেরিন্স বন্দরে নোঙর করে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক টুইটে জানিয়েছেন,‘এটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার প্রতিটি পরিবারের কাছে আশার বার্তা পাঠায়: ইউক্রেন আপনাদের বঞ্চিত করবে না।’

তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শস্য চুক্তির অধীনে মোট ১২টি জাহাজ বর্তমানে যাত্রা করার অনুমতি পেয়েছে। ইউক্রেনের শস্যবাহী ১০টি জাহাজ দেশটির বাইরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উদ্দেশে এবং দুটি জাহাজ অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের দিকে রওনা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন লাখ ২২ হাজার টন কৃষি পণ্য ইউক্রেনীয় বন্দর ছেড়ে গেছে। এর বেশিরভাগ ভুট্টা, সূর্যমুখী তেল ও সয়া।

ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া প্রথম জাহাজ সিয়েরা লিওনের-পতাকাবাহী রেজোনি গত ১ আগস্ট কৃষ্ণ সাগরের করিডোর দিয়ে যাত্রা করে। জাহাজটি এখনও লেবাননে তার গন্তব্যে পৌঁছায়নি।

মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইট অনুসারে রবিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলে নোঙর করেছে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী প্রথম জাহাজ ওডেসা বন্দর ছেড়েছে

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ২৩, আহত শতাধিক

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভুট্টা ও সয়াবিন বহনকারী আরও দুটি জাহাজ সোমবার ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দর ত্যাগ করেছে।

১১ হাজার টন সয়াবিন নিয়ে সাকুরা ইতালির ইউঝনি ছেড়েছে এবং অ্যারিজোনা ৪৮ হাজার ৪৫৮ টন ভুট্টা নিয়ে দক্ষিণ তুরস্কের ইস্কেন্দারুনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

রবিবার ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া চারটি জাহাজ সোমবার সন্ধ্যায় ইস্তাম্বুলের কাছে নোঙর করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মঙ্গলবার কর্মকর্তারা সেগুলো পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

এই ব্যবস্থার অধীনে, ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলোকে তিনটি দেশ এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখেন; যে তারা কেবল শস্য, সার বা খাদ্য বহন করে।

অভ্যন্তরীণ জাহাজগুলোও অস্ত্র বহন করছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষা করা হয়।