শুক্রবার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বা এইচএএস জানায়, আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সুস্থ হয়ে গেছেন তাদের দেহে এক ডোজ ভ্যাকসিনে সৃষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। ফলে তাদের জন্য ভ্যাকসিনের একটি ডোজই যথেষ্ট হতে পারে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কীভাবে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় তা মনে করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।’
করোনা: বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি ৮১ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে, সিদ্ধান্তটি ফ্রান্সের টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত ফাইজার, মর্ডানা ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিনটি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রয়োগ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি ডোজ নিলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধি পায় বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
করোনা: মালয়েশিয়ায় সবার আগে ভ্যাকসিন নেবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী
করোনার বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ২৩ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ কোটি ৮১ লাখ।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১৭২ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭০ জনে।
দ. কোরিয়ায় সকল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ৮০ হাজার ৭৪৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৭ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৯৭ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জনের।
মেক্সিকো ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৭ জনের মৃত্যু নিয়ে এ তালিকায় তিন নম্বরে থাকলেও রোগীর সংখ্যা নিয়ে আছে ১৩তম অবস্থানে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো- যুক্তরাজ্য (৪০ লাখ ২৫ হাজারের বেশি), রাশিয়া (৩৯ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (৩৪ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি) ও স্পেন (৩০ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি)।
‘ভ্যাকসিন কূটনীতির’ আগে চীনকে ভাইরাস শনাক্তের আহ্বান
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য (১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৭ জন)। তারপরে ইতালিতে ৯৩ হাজার ৪৫ জন, ফ্রান্সে ৮০ হাজার ৯৫৪ জন ও রাশিয়ায় ৭৭ হাজার ৯১১ জন মারা গেছেন।