তিউনিসিয়ায় মহামারি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সহিংস বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত এবং দেশের পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন রাষ্ট্রপতি কায়িস সাইদ।
রবিবার গভীর রাতে এই ঘোষণার পর তিউনিসের রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের উদযাপন করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
রাষ্ট্রপতি কায়িস সাইদ ঘোষণা করেছেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে কাজ করবেন।
দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক শেষে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘তিউনিসিয়ায় সামাজিক শান্তি ফিরে না আসা এবং রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুনঃ ভারতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত শতাধিক
রবিবার তিউনিসসহ অন্যান্য শহরগুলিতে হাজার হাজার মানুষ ভাইরাস বিধিনিষেধ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। এসময় সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেন তারা।
২৫ জুলাই আন্দোলনের নামে একটি নতুন গ্রুপ তিউনিসিয়ার স্বাধীনতার ৬৪তম বার্ষিকীতে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়।
আরও পড়ুনঃ আততায়ীর গুলিতে হাইতির প্রেসিডেন্ট নিহত
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছিল এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। নাবেউল, সউস, কায়রউয়ান, সাফ্যাক্স এবং তোজেউর শহরেও এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা সংসদের প্রভাবশালী ইসলামপন্থী আন্দোলন আন্নাহাদারের অফিসেও হামলা চালিয়েছে। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে আক্রমণকারীরা অফিসের ভেতরের কম্পিউটার এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলি ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় ফেলে দেয়।
দলটি এই হামলার নিন্দা করে বলেছে যে তিউনিসিয়ার অভ্যন্তরীণ ও বাইরের ‘অপরাধী দল’ তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে এই কাজ করছে।
আরও পড়ুনঃ তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে প্রাণ গেল ২০ অভিবাসীর
উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে তিউনিসিয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে, ফলে দেশটিতে লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ পুনরায় জারি করা হয়েছে।