যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় মোমোদু তাল নামের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে মার্কিন অভিবাসন পুলিশ। শুক্রবার (২২ মার্চ) তার আইনজীবী দলকে এই চিঠি মেইল করা হয়েছে। দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক কর্মকর্তারা এই চিঠি দেন।
আফ্রিকানা অধ্যয়নের ওপর পিএইচডি করছেন মোমোদু তাল। তিনি অবশ্য যুক্তরাজ্য ও গাম্বিয়ার দ্বৈত নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন এই শিক্ষার্থী।-খবর সিএনএনের
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাসকে সমর্থন ও ইহুদিবিদ্বেষী হওয়ার অভিযোগ তোলেন তাদের বিরুদ্ধে।
আত্মসমর্পণের এই চিঠিকে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেন মোমোদু তালের আইনজীবীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর তাকে যাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া না হয়, তা আটকে দিতে আগেই একটি মামলা দায়ের করে রেখেছিলেন মোমোদু তাল।
কয়েকটি ইহুদি গোষ্ঠীসহ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ ও ইসরাইলের সমালোচনাকে ভুলভাবে ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে মিশিয়ে তালগোল পাকানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
মোমোদু তালকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘নিউইয়র্কের সিরাকিউজে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস অফিসে সরাসরি হাজির হতে মোমোদু তাল ও তার আইনজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আইসিই হাজতখানায় তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’
গেল বছরে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ক্যারিয়ার মেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তালসহ একদল শিক্ষার্থী। ওই মেলায় বোয়িং ও এল৩হ্যারিসের প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা অংশ নিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা যেসব অস্ত্র উৎপাদন করছে, তা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের সহিংসতায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
এরপর থেকে ক্যাম্পাসে না এসে তালকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লেখাপড়া করতে বলেছেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরআগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে আটক করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।