বুধবার সকাল ১০টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৫২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২ লাখ ২১ হাজার ৮৪০ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কি মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে?
ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার ২২৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় এক কোটি ৬ লাখ ৭৬ হাজার এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৭ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৯ লাখ ৩৩ হাজারের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৮ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩২ হাজার ৯১৬ জনে পৌঁছেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩.৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনার কারণে ২০০৮ সালের চেয়েও মন্দাবস্থায় চাকরির বাজার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২০০ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৯৬টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৪ হাজার ৪০১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৮ লাখ ৬ হাজার ৮৭১টি।
আরও পড়ুন: এখনই করোনার টিকা নিতে আগ্রহী দেশের ৩২ ভাগ মানুষ: গবেষণা
নতুন যে ১৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ এবং নারী দুইজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ১০৭ জন বা ৭৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ৯৪৮ জন বা ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।