কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৬ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ৫০ জন।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৮ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৮৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৪ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ১২৩ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ২১৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জন মারা গেছেন বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে ৪ হাজার ১৯২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৯ টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.০০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৪.৪৩ শতাংশ।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্ব গতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে সারাদেশে আট দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।