বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সোমবার প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে সতর্ক করেছে যে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর বৈশ্বিক ঝুঁকি ‘খুব বেশি’। নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ‘গুরুতর পরিণতি’ সহ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থার মূল্যায়ন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে জারি করা একটি প্রযুক্তিগত কাগজে রয়েছে যা দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকদের দ্বারা কয়েকদিন আগে প্রথম শনাক্ত হওয়া নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে ডব্লিওএইচও-এর সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে স্পষ্ট সতর্কতা।
জাপান সব বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে। একই ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া মরক্কো সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ অন্যান্য দেশগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ পদক্ষেপ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে ‘যথেষ্ট অনিশ্চয়তা’ রয়েছে৷ কিন্তু প্রাথমিক প্রমাণগুলো থেকে বলা যায় ভ্যারিয়েন্টটির মিউটেশন রয়েছে যা ইমিউন-সিস্টেম প্রতিক্রিয়া এড়াতে এবং একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে৷
যখন বিজ্ঞানীরা এই ভ্যারিয়েন্টটি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য প্রমাণ খুঁজছেন ডব্লিওএইচও তখন দেশগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে জোর আরোপ করছেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে জাপান