বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে জারি করা জরুরি অবস্থা এবং স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্তসহ অন্যদের নির্বিচারে আটকে রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।’
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের একদিন পরই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা। তবে বৈঠক থেকে একীভূত বার্তা প্রদানে সক্ষম হয়নি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা যুক্তরাজ্য, কারণ বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য আরও সময় চেয়েছে চীন এবং রাশিয়া।
সু চির বিরুদ্ধে মামলা, পাওয়া গেল তাকে আটক রাখার আইনি ভিত্তি
১৫ সদস্য দেশের মধ্যে আরও আলোচনার পরে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের সমালোচনা করে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করতে রাজি হয় নিরাপত্তা পরিষদ এবং ওই বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকারের নেতাদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করায় দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরণে অব্যাহত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।’
‘তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে, সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন,’ বলা হয় বিবৃতিতে।
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
এদিকে অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখার দায়ে মিয়ানমারের পদচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার সু চির মিত্ররা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সু চিকে পদচ্যুত করা সামরিক জেনারেলরা এ পদক্ষেপের ফলে তাকে দুই সপ্তাহ আটকে রাখার আইনি ভিত্তি পেয়ে গেছেন।
সু চিকে গৃহবন্দি করার দুই দিন পর মামলার বিষয়টি সামনে আসে। এটি মূলত করা হয়েছে তাকে আটক রাখার ঘটনাটিকে আইনি ছদ্মবেশ দেয়ার জন্য।
আগেও সু চি এবং অন্যদের বছরের পর বছর আটক রেখেছিলেন জেনারেলরা।
মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধান ঘটনাগুলো
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিবাচনে সু চির সরকার জয়লাভ করে এবং সেনাবাহিনীর মদদ থাকা দল খারাপ ফল করে। এর জেরে ভোটগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ এনে তা তদন্ত না করার দায়ে সু চি সরকারকে অভিযুক্ত করে সোমবার সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয় যে তারা এক বছরের জন্য দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র খি টুই তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড।
খি টুই আরও জানান, দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ১ ফেব্রুয়ারির তারিখ থাকা অভিযোগপত্র অনুযায়ী, দুই নেতাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক রাখা যাবে।
সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিল মিয়ানমার সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিল মিয়ানমার
এ বিষয়ে জানতে রাজধানী নাইপিডোতে পুলিশ ও আদালতের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।