সু চিকে পদচ্যুত করা সামরিক জেনারেলরা এ পদক্ষেপের ফলে তাকে দুই সপ্তাহ আটকে রাখার আইনি ভিত্তি পেয়ে গেছেন।
সু চিকে গৃহবন্দি করার দুই দিন পর মামলার বিষয়টি সামনে আসে। এটি মূলত করা হয়েছে তাকে আটক রাখার ঘটনাটিকে আইনি ছদ্মবেশ দেয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
আগেও সু চি এবং অন্যদের বছরের পর বছর আটক রেখেছিলেন জেনারেলরা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিবাচনে সু চির সরকার জয়লাভ করে এবং সেনাবাহিনীর মদদ থাকা দল খারাপ ফল করে। এর জেরে ভোটগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ এনে তা তদন্ত না করার দায়ে সু চি সরকারকে অভিযুক্ত করে সোমবার সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয় যে তারা এক বছরের জন্য দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধান ঘটনাগুলো
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র খি টুই তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড।
খি টুই আরও জানান, দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া ১ ফেব্রুয়ারির তারিখ থাকা অভিযোগপত্র অনুযায়ী, দুই নেতাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক রাখা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে রাজধানী নাইপিডোতে পুলিশ ও আদালতের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিল মিয়ানমার
এদিকে, কর্তৃপক্ষ যখন সু চিকে আটক রাখার চেষ্টা করছে তখন অভ্যুত্থানের পর যে কয়েক শ সংসদ সদস্যকে সরকারি বাসায় জোর করে রাখা হয়েছিল তাদের বুধবার এক ঘোষণায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সু চির দলের এক সংসদ সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থা শেষে নতুন নির্বাচন: মিয়ানমার সেনাবাহিনী
সাংবাদিকরা বুধবার বিকালে সংসদ সদদ্যদের বহনকারী গাড়ির বহরকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত বাসস্থান এলাকা ছেড়ে যেতে দেখেছেন।
গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে থাকা মিয়ানমারের জন্য সোমবারের অভ্যুত্থানটি ছিল এক নাটকীয় মোড়। এ থেকে বুঝা গেল যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছেন সামরিক জেনারেলরাই।
আরও পড়ুন: সু চিসহ আটক মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান
অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সু চির দল অহিংস প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে। দেশটির সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা বুধবার টানা দ্বিতীয় রাতের মতো গাড়ির হর্ন বাজিয়ে ও থালা-বাসন পিটিয়ে উচ্চশব্দ সৃষ্টি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে সেনাবাহিনীর সমর্থকরাও সমাবেশ করেছেন।