সোমবার রাতে দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলাপকালে মিয়ানমারের বিষয়টি উঠে আসে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই তাদের প্রথম আলাপ। টেলিফোন আলাপের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক টুইট করেছেন অন্যদিকে এর কিছুক্ষণ পরেই হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় জোটের উন্নয়ন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মত মুন ও বাইডেন
ওই বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা এবং এর রীতিনীতি রক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মার্কিন-ভারতের সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতিশীলতা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তারা (বাইডেন এবং মোদি) বলেছেন, বার্মায় (মিয়ানমার) আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।’
ফোনকল সম্পর্কে মোদি টুইট করলেও তাতে মিয়ানমারের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি লিখেছেন, @প্রেসিডেন্ট অব ইউনাইটেড স্টেট @জোবাইডেনের সাথে কথা হয়েছে এবং বিজয়ী হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আমরা আঞ্চলিক সমস্যা এবং আমাদের মধ্যকার অগ্রাধিকারে থাকা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: মোদি টুঙ্গিপাড়া সফর করতে পারেন ২৬ মার্চ
প্রেসিডেন্ট @জোবাইডেন এবং আমি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও সুরক্ষায় আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় রাখার প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করছি, অন্য আরেকটি টুইট লেখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই নেতা আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সাধারণ কৌশলগত স্বার্থের প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় সংক্ল্পবদ্ধ।
এতে বলা হয়, ‘তারা বিধিবদ্ধ আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং একটি স্বাধীন, উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করতে সমমনা দেশগুলোর সাথে কাজ করার গুরুত্বের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
আরও পড়ুন: মেগা ইভেন্টের মাধ্যমে ২০২১ সালে সম্পর্ক শক্তিশালী করবে বাংলাদেশ-ভারত
ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ ঢাকার
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই ২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের উৎখাত এবং দেশটির নির্বাচিত নেতা এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন।
বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে ক্ষমতা দখল করেছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং আটক নেতা-কর্মী ও কর্মকর্তাদের মুক্ত করে দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হতে হবে।’
গত সপ্তাহে ভারতও এই সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ভারত সবসময়ই সমর্থনে দিয়ে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সম্পর্কের নিদর্শন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী