অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর শুরু হওয়া সংকট সমাধানের আশার সর্বশেষ ধাক্কা ছিল এটি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ দমনে দিন দিন আরও সহিংস হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
সেনাবাহিনী দেশজুড়ে আরও নতুন নতুন এলাকায় কঠোরভাবে সামরিক আইন আরোপ করতে শুরু করেছে।
সোমবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, উত্তর ডাগন, দক্ষিণ ডাগন, ডাগন সিক্কান এবং উত্তর ওক্কালাপার ইয়াঙ্গুন শহরতলিকে সামরিক আইনের আওতায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩৮ জন খুন, ইয়াঙ্গুনে সামরিক আইন জারি
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ব্রডকাস্টার এবং বার্তা সংস্থা ডেমোক্রেটিক ভয়েস অব বার্মার খবর অনুযায়ী, সোমবারও দেশজুড়ে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। চারটি শহরে কমপক্ষে আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবি এবং ভিডিওগুলোতে ইয়াঙ্গুনে প্রবেশের আগে ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, রবিবার ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং থায়ার এলাকায় ৩৮ জন মারা গেছেন। শনিবারও মারা গেছেন ১৮ জন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট নিহতের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর গুলিতে একদিনে নিহত ৩৮: জাতিসংঘ
ডুজারিক বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এই চলমান সহিংসতা এবং মিয়ানমারের জনগণের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।’
জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, ‘তিনি জাতিসংঘের প্রধান আঞ্চলিক দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘মিয়ানমারের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার সাথে একাত্মতা ঘোষণার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
এর আগে সোমবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শরণার বার্গনার মিয়ানমারে চলমান এই রক্তপাতের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সুরক্ষা কাউন্সিলসহ আন্তর্জাতিক আহ্বানকে উপেক্ষা করেই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা কর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান বর্বরতা এবং জনসাধারণের অবকাঠামোগত ধ্বংস, শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’