কর্তৃপক্ষ জানায়, মেক্সিকো সীমান্তে আটকে পড়া অভিবাসীদের মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। তিনটি স্থান দিয়ে অভিবাসীদের প্রবেশের সুযোগ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি স্থানের প্রতিটি দিয়ে দিনে ৩০০ জন করে অভিবাসীকে ঢুকতে দেয়া হবে। তৃতীয় স্থান দিয়ে আরও কম মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
জনসাধারণ ভিড় করতে পারে এমন আশঙ্কায় বাইডেন প্রশাসন ওই তিন স্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুন: সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
তবে টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি হেনরি কুয়েলার বলেন, কর্মকর্তারা তাকে টেক্সাসের ব্রাউন্সভিল, এল পাসো এবং সান দিয়েগোর সান ইসিড্রো ক্রসিংয়ের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী নীতির জের ধরেই মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়নি। এর মধ্যে ২০১৯ সালে দ্য মাইগ্রেন্ট প্রোটেকশন প্রটোকল কর্মসূচি চালু করা হয়। প্রায় ৭০ হাজার অভিবাসী এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার ব্যবহার এবং কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়াই তার পূর্বসূরীর অভিবাসন নীতি বাতিল করার আদেশে দ্বিতীয় দফায় সই করেছেন।
এ আদেশের মধ্যেদিয়ে ক্ষমতায় আসার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি পারিবারিক বিচ্ছেদ, সীমান্ত সুরক্ষা এবং আইনী অভিবাসনের বিষয়ে ৯টি নির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রস্তাবিত আইন অনুসারে দেশটিতে থাকা আনুমানিক এক কোটি ১০ লাখ অভিবাসীকে আইনী মর্যাদা ও নাগরিকত্ব দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন রোধে নেয়া আইনী এবং অবৈধ পদক্ষেপের ব্যাপক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মায়োরকাস বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সরকার ফের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ কারণেই আমরা অভিবাসন নীতি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছি। এর আগে যে নীতি ছিল, সেটি মার্কিনিদের জাতিগত মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপ: কী কথা হলো তাদের মধ্যে?
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, আশ্রয় প্রার্থীদের শহরের কাছের আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশসহ বা পরিবারের সঙ্গে চূড়ান্ত গন্তব্যে যেতে দেয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পাসাকি বৃহস্পতিবার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত প্রবেশের কারণে অন্যদের অবৈধভাবে পার হতে উত্সাহিত করতে পারেন বলে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না যে লোকেরা এমন সময়ে নিজেদেরকে বিপদে ফেলবে যেখানে আসার উপযুক্ত সময় নয়, কারণ আমাদের কাছে মানবিক ও নৈতিক ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়া করার সময় হয়নি।’