ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ভারত একটি মুক্ত ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয়। কারণ এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সে জেনারেল মনোজ পান্ডে এসব কথা বলেন।
সামরিক কূটনীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টি দেশের সেনাপ্রধান ও প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, যা বুধবার শেষ হবে।
পান্ডে বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যখন একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে কাজ করছে, তখন ‘আমরা আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি।’
পরোক্ষভাবে তিনি চীনের কথা বলেছেন, কেননা দেশটি সম্প্রতি এই অঞ্চলে তার কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
পান্ডে বা মার্কিন সেনাপ্রধান র্যান্ডি জর্জ কেউই তাদের মন্তব্যে স্পষ্টভাবে চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জর্জ বলেন, অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ‘এ কারণেই আমরা এই কনফারেন্স আয়োজন করেছি এবং এজন্যই আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এই অঞ্চলে বেশি সক্রিয়।’
মার্কিন সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন যা প্রমাণ করে... তা হলো (আমাদের) ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি।’
পরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পান্ডে বলেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বলপ্রয়োগ এড়ানো এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো ছাড়াও, আঞ্চলিক বিরোধসহ ‘কৃত্রিমভাবে সম্প্রসারিত দ্বীপগুলোকে রিয়েল এস্টেট অধিগ্রহণ এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন’-সহ অঞ্চলটি স্থল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছে।’
এখানেও চীনের নাম উহ্য রাখেন তিনি।
দ্বীপগুলোর উপর পূর্ব চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক দাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি জাপানের বেইজিংয়ের ছোট প্রতিবেশীকে বিচলিত করেছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেসময় হিমালয় লাদাখ অঞ্চলে অনির্ধারিত সীমান্তে সংঘর্ষে মোট ২৪ জন ভারতীয় ও চীনা সৈন্য নেহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল ভারতীয় এবং চার জন ছিল চীনা সৈন্য।