তিসি বলেন, ই-কমার্স আজকের বাংলাদেশের প্রসারমাণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং সাহসী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশে ই-কমার্স বাজার প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ তা তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজ পূর্বাচল ক্লাবে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী মেলা উই কালারফুল ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স বাস্তবায়নে চুক্তি সই
বগুড়ায় মাসব্যাপী বিসিক শিল্প পণ্য মেলা শুরু
ই-কমার্সের এই দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে দেশের নারী উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা আরও বেশি মাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে নারী-বান্ধব সরকার।
তিনি বলেন, দৃঢ় মনোবল নিয়ে করোনা মহামারির মধ্যেও নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তারা লাখ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে সাহায্য করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, বেশ কয়েকজন নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তা দশ লাখ টাকার অধিক পণ্য বিক্রি করেছেন। এসব নারী উদ্যোক্তা কখনো মনোবল হারাননি। তারা দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যেও থেমে থাকেননি। বাসায় থেকে ‘উই’র নির্দেশনা মেনে নিয়মিত কাজ করে গেছেন। কোভিডের এই গভীর সংকটময় সময়ে তারা ই-কমার্সের মাধ্যমে শুধু আত্মনির্ভরই হননি বরং নিজেদের পরিবারকেও সাহায্য করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার উদ্যোক্তা সৃস্টিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অধিক সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা দেশের অর্থনীতির মূলধারায় যোগ দিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড সিএসআর অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিসিক চেয়ারম্যান
গহনা প্রেমীদের জন্য ‘গোল্ড’ ও ‘ডায়মন্ড’ ক্যাটাগরি চালু করল দারাজ
তিনি বাংলাদেশ গড়ার পেছনে নারীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চিন্তাশীল নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে কোনো দ্বিধা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছিল।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা।