বেনাপোলের ওপারে ভারেতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
পেট্রাপোল বন্দরে এলপি ম্যানেজার কর্তৃক নানাবিধ হয়রানি প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন, যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতিসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন।
পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কাজে নতুন এলপি ম্যানেজার নতুন নতুন আইন তৈরী করার কারণে নানা হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হয়রানি বন্ধসহ নতুন এলপি ম্যানেজারের প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও এলপি ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, মহামারি করোনার কারণে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৭ শ থেকে সাড়ে ৭শ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানি হতো। এখন মাত্র সাড়ে ৩শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এরপর নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের আলোচনা না করে বন্দর এলাকায় প্রবেশের উপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন স্টাফদের বন্দরের ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন কাজে জড়িত স্টাফদের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের পেট্রপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন আন্দোলন করছেন। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ