বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বুধবার সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আটকে পড়া পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। এসবের মধ্যে পচনশীল পণ্যসহ শতভাগ রপ্তিানিমুখী প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশঙ্ক শেখর ভট্রাচার্য জানান, বুধবার উভয় দেশে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল, তারা দূতাবাস থেকে ছাত্রপত্র নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। এছড়া ভারতে রপ্তানি হয় ১৫০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য। আমদানি বাণিজ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা।