বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ানগো যা দিলো হেইটারে হার/পরাজয়, বিজয়, এই সব সুট বুট মার্কা কথায় বোজান যাইবো না। এইটা হইলো গিয়া প্যাদানি। মানে আচ্ছা কইরা, কইসা পিসনে হাত বাইন্দা এক হাত, দুই হাত, পাঁচ হাত দিয়া মহল্লা স্টাইলে মাইর।
এই রকম মাইর অসি বাবুরা আগে কোনোদিন নাকি খায় নাই। টি-২০ খেলায় হেগো এদ্দিনের সব চাইতে কম স্কোর। মানে আমাগো স্কুলের সব চাইতে বড় মাস্তানের পয়সা খাইয়া বেরাইম্মা পোলা সাইজা স্কুলে অংকে চুরি কইরা যা পাইসিল, তার চাইতে কম। এর নিচে অসি ক্রিকেট নামে নাই বলা যায়। ওদের লাইগা একটু কানতাম, কিন্তু মনটা আইসা আচ্ছা লাগতাসে যে পারলাম না।
ভাইয়া আবার আইসেন, এইবার তো রাস্তা চিনসেন, বুড়িগঙ্গার পানি এবার ড্রামে কইরা আপনাগো লাইগা রাইখা দিমু। দেখলেন তো, কত জলে কত পানি। আসল কথা টাইমটা আর পিচটা আমাগো আসিল। আপ্নেরা রঙ টাইমে আইসিলেন ফল পাড়তে। মানে যারে কয়, ধরা খাইসেন আর কি। মজা না?
বাংলাদেশ কি দেখাইলো?
ব্যাটিং তেমন কিসু করে নাই, খালি পরথমে এট্টুক পিটায় রাখসে যাতে রাতে খাবার শর্ট না পড়ে। ঠিকই একটু কমতি কমতি হইসে কিন্তু আগার-মাগার কইরা ১২১ হইসে। এই মাঠে এইটাই কেউ পারে না, কিন্তু বুঝেনি তো সব, মহল্লার মানুষ, সাকিবরে আবার যদি কতল কইরা দেয়। কিন্তু প্রথম উইকেট পরসে জলদি, তবে হেগো কাপ্তান নিজেই চালু আসিল এবং ছক্কাও মারসে। তবে সাকিব মিয়ার ছক্কা পার্টিরে ডাইকা আনা হইসিল উপরে, কিন্তু হে ভাবসে আবার মাঘ মাস আইসে। অমনি ধরা, গেসে গা প্রথম ওভারেই।
হেদের কি বাথরুম প্রব্লেম হইসিল
ধরেন গিয়া ৪ উইকেট ত্বক কইতে পারেন কিরিকেট খেলসে, কিন্তু তারপর যা হইসে সেইটা মনে হয় বুড়া মানুষ বহুতখন বাইরে থাকার পর যহন হিসু ধরে, আর হে বাসায় দৌঁড়াইতে দৌঁড়াইতে ফিরা ওয়াশরুম খোঁজে, অনেকটা সেই রকম আর কি!
অথবা মানে যদি আমগো ওয়াসার কলের পানি খাইলেন না ফুটাইয়া, কয়েকবার আর কি। তহন টয়লেট রে 'যান আমার প্রাণ আমার’ কইয়া খালি দেহা করতে যান, সেই রকম আর কি। আশা যাওয়ার মধ্যে থাকা কওয়া যায়। জন্মের আগেই হগলটি আউট।
আবার আইসেন, কিমুন?
এইটা কোনও কথা হইলো। আমগো বাড়ির জামাই বাবাজি ঘুম থিকা উইঠা টিভি খুইলা দেহে সব ফক ফকা। খোমা হেভি বেজার। কয় এইডা কিমুন বাড়ি, কিরিকেট দেহন যায় না।
কি আর করুম কন, কি আর বলুম। সবই আল্লা'র ইস্সা।
তয় কিনা দাওয়াত রইলো আব্বাজানেরা। আবার আইসেন। পকেটে ফুইসা কম থাকলে খবর দিয়েন, চাঁদা তুইলা টিকেটের দাম পাঠামু, আঃ-বাহ্ ফ্রি, খালি এইবারের মতো ঠুশ মাইরা খেইলেন। হাগু মুতু নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।