বিরোধী দলগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা জারি করে বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালে লালদীঘি ময়দানে বলেছিলেন, তৎকালীন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তারাই হবে দেশদ্রোহী।কিন্তু তিনি নিজে সেই নির্বাচনে যোগ দিয়ে নিজেকে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রমাণ করেছেন। সুতরাং, সরকার এবং যারা নিজেদের জাতীয় বিশ্বাসঘাতক হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডার’ কর্তৃক বিরোধী দলের নেতাদের ওপর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
এসময় মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হলে তাদের দল যোগ্য জবাব দেবে।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে যোগদানের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, তারা এ ধরনের কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেবে না।
তিনি বলেন, ‘আসন ভাগাভাগির কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশে কোনো মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এটা মনে রাখবেন।’
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
আব্বাস দলের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলডিপি নেতা ডা. রেদওয়ান আহমেদসহ কয়েকজন নেতার ওপর সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমরা যদি আবার কোনো আক্রমণ ও দমন-পীড়নের শিকার হই, আমরা একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না্।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা প্রতিরোধের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করব।
সমাবেশ, মিটিং, মিছিল করা রাজনৈতিক দলগুলোর মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে অনুমতির নামে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি আর চাইবে না।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল