বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করে জনগণকে ‘তামাশা’ করছেন।
তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি ও অন্যান্য পণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে; তাতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ শুধু সংগ্রামই করছে না, অসহায়ও হয়ে পড়ছে।
রবিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদাসীনতার কারণে সাধারণ মানুষের পিঠ ইতোমধ্যে দেয়ালে ঠেকেছে।
ফখরুল বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা হাস্যকর ও উদ্ভট মন্তব্য করছেন। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে।’
তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে মন্ত্রীদের নিন্দা করেন এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ভার সরকারকে কাঁধে তুলে নিতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে আপনারা (আ.লীগ) কেন সরকারে আছেন? আপনারা পদত্যাগ করুন এবং বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেখুন কিভাবে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
আরও পড়ুন: জনগণের কণ্ঠরোধ করতেই দুটি নীতিমালা হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মন্ত্রীরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অযৌক্তিক মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে চাই না যিনি বলেছেন আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত। এটা একটা মজার কথা। আমার পেশা শিক্ষকতা হওয়ায়, আমি কখনই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।’
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে বিরোধীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ভিন্নমতের কণ্ঠকে দমন করার চেষ্টা করছে।
২৮ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতালকে তাদের দল সমর্থন দেবে কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে সরকার আবারও তার নতজানু নীতি প্রকাশ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি, এমনকি যুদ্ধের বিষয়ে কোনো বিবৃতিও জারি করেনি। বিএনপি সব সময়ই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। আমরা যেকোনো দেশে আগ্রাসনের বিরোধিতা করি।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আ’লীগ জড়িত: ফখরুল