কুড়িগ্রামে চারটি সংসদীয় আসনে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
এসময় পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিনসহ প্রার্থী, সমর্থক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
এবার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে দুইজন, জাতীয় পার্টি থেকে চারজন অংশ নিয়েছে।
এরমধ্যে কুড়িগ্রাম-১ ও কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এছাড়াও জাকের পার্টির তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে আব্দুল হাই নামে একজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে অবস্থান করছেন।
এর বাইরে বিভিন্ন দল থেকে ১৫ জন প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুম ইকবাল ও মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক দাবি করায় লটারির মাধ্যমে মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক পান।
অপরদিকে মাছুম ইকবাল কাচি প্রতীক নেন।
প্রতীক বরাদ্দকালে দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী মো. সাফিউর রহমান ও কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান খান অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব প্রার্থী যাতে নির্বাচনে সমান অধিকার পান সে ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া