রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বুধবার মামলাটির অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এ দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান।
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় আজ হাজিরা পরোয়ানা (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা পিডব্লিউ) পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র জেল সুপার স্বাক্ষরিত কাস্টডিতে লেখা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট বন্দী বিজ্ঞ আদালতে যেতে অনিচ্ছুক।’
পরে আদালত খালেদার আইনজীবী মাসুদ তালুকদারের সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করে।
গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
মামলায় বলা হয়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া।