বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি পরীক্ষা করা হলেও তিনি ভালো আছেন এবং শঙ্কামুক্ত আছেন।
সোমবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ্য আছেন।
ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার (খালেদা জিয়া) সাথে কথা বলেছেন। তার ভাই শামীম ইস্কান্দারও তার সাথে কথা বলেছেন। তার চিকিৎসকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি বিপদমুক্ত। তারা মনে করেন, তার জন্য কোন বিপদ নেই।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
খালেদা জিয়ার গুরুত্বর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল তথ্য। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মিডিয়াকে কেন এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে হবে? তাদের উচিত ছিল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সনের শরীরের এক জায়গায় ছোট লাম্প আছে। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে বায়োপসি করার পর জাহিদ জানান, এই মুহূর্তে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি সার্জিক্যাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুই বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।