বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শনিবার খুলনা মহানগরীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
বিএনপির খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক চত্বরে নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলীয় নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। সংবিধান অনুমোদন করে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করে এবং অনেকেই সেখানে রাত কাটান।
বিভিন্ন প্রবেশপথে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন যে খুলনায় যাওয়ার পথে তাদের নেতাকর্মীরা নানা বাধার মুখে পড়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৭ জনকে আটক করেছে।
চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পড়ে আজকের সমাবেশটি বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির তৃতীয় সমাবেশ।
আগামী বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগেও অনুরূপ সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে দলটির।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় খুলনা শহর।