তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরুন এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম বন্ধ করুন, নইলে দেশবাসী আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফখরুল অভিযোগ করেন যে আওয়ামী নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আরো বেপরোয়া হওয়ার শিক্ষা পেয়েই নববর্ষ বরণের মতো দিনে কোনো কারণ ছাড়াই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান শিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সংগঠনের কর্মীরা আলতাফের পটুয়াখালীর বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দামি আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভেঙে তছনছ করেন বলে জানান ফখরুল।
তার মতে, এ হামলার মাধ্যমে ছাত্রলীগ জানান দিলো যে অতীতের বছরগুলোর মতোই ২০২০ সালেও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিএনপিকে রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে।
‘এ হামলা আবারো প্রমাণ করল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস নির্ভর একটি রাজনৈতিক দল, এরা সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কবজায় রাখতে চায়,’ যোগ করেন তিনি।
ফখরুলের অভিযোগ, দোষীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার না করার কারণেই সরকার দলীয় ‘সন্ত্রাসীরা’ সারা দেশে খুনখারাবি, ভাঙচুর ও জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছে।
তিনি হামলার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান।