ঢাকার মূল প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৫৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি মামলা করা হয়েছে।
এসব মামলায় অন্তত ১৪৯ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের মধ্যে ৪৬৯ জনের নাম রয়েছে এবং আরও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, শনিবার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে।
মামলার মধ্যে রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানা একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা-অগ্নিসংযোগ
তিনি বলেন, ডিএমপির অসম্মতি উপেক্ষা করে গতকাল বিএনপি ‘অবৈধ সমাবেশ’ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাস ভাঙচুর করে এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, পুলিশ অফিসারদের ওপর হামলা করে এবং তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।’
শনিবার ঢাকার মূল প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ ও সহিংসতার কারণে বহু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেও পিটিয়ে আহত করে পুলিশ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে যায়।
দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী বাসস্টেশন থেকে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকার কয়েকটি প্রবেশপথে জড়ো হলে বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল, রায়েরবাগ ও গাবতলীতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করে অবস্থান নিলে পুলিশের সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার