নরসিংদীতে পদবঞ্চিত দুই ছাত্রদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নরসিংদী সদর থানায় নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে এবং বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
নিহতেরা হলেন- ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলাম (২০)।
মামলার বেশিরভাগ আসামীরা স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলার আসামি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, চিনিশপুরের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ও তার ভাতিজা রাসেলকে শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সাদেকুর রহমান সাদেকের বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি করেন।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎসহ তিনজনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সদ্য বহিষ্কৃত সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় সাদেকুর রহমান ও পরদিন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় আশরাফুল ইসলামের।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রদলনেতা নিহত, আহত ১
নরসিংদীতে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভাংচুর করল বিএনপির কার্যালয়