প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে ওঠে না।
এ জন্য প্রতিটি পক্ষকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন (আরসিসি) নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে। রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন আর ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন এক জিনিস নয়।’
একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে সিইসি সব দলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কাউকে বাধ্য করতে পারে না।
তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি খুশি হব।
এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান সিইসি।
‘যদি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয়, তাহলে তা সঠিক জনমতের প্রতিফলন ঘটায় না।’
আরসিসি নির্বাচন প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি নগরবাসীকে ২৭ ডিসেম্বর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
ঢাকা থেকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সিইসি।
গাইবান্ধা নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনী অনিয়মের জন্য দায়ী পোলিং এজেন্টরা যাতে পুনঃনির্বাচনে উপস্থিত থাকতে না পারে সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রংপুরের মেয়র, ৩৩ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি