বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করতে হবে। বর্তমান ‘নির্দয়’ সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
রবিবার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন নিশ্চিত করে তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শক্তিশালী গণআন্দোলন চালাতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাদের (আ.লীগ) পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
আরও পড়ুন: সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভাষা আন্দোলনই ছিল বাঙালি জাতি গঠনের প্রথম ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন, সুস্থ, গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও আকাঙ্খা নিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই চেতনা ও আকাঙ্খা এখন আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র সত্তা ও পরিচয়কে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘এটি এখন বাংলাদেশকে সত্যিকারের পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোট ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা পুরো দেশকে লুণ্ঠনের আস্তানায় পরিণত করেছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতিকে লুটপাটের খাতে পরিণত করেছে।’
সরকার আবারও ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’