বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তাদের দলের বিভাগীয় সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ যোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, গণতন্ত্র না থাকলে কারও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
সোমবার এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশে গণতন্ত্রের অভাবে জাতি ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। ‘আমাদের অবশ্যই এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ছিলাম এবং কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিচ্ছে। কারণ তারা সবাই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষিত হোক।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
দুর্গাপূজা উদযাপন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র, জনগণের সমঅধিকার, ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণতার চেতনায় একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার প্রথমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। ‘তাকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ আবারও মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো জেগে উঠবে এবং শয়তান শাসককে পরাজিত করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার পথ প্রশস্ত করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নেতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, ডা. সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।