তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমগ্র বিশ্ব গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নতির স্বীকৃতি দিলেও, মির্জা ফখরুল সাহেবদের এগুলো স্বীকার করতে কষ্ট হয়। কারণ দেশের মানুষের অগ্রগতি তাদের পছন্দ নয়, বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অভ বাংলাদেশ সংগঠনের সভাপতি সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে টেলিপ্রেস-ট্রাব মিডিয়া এওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘দেশের উন্নতির তথ্য-উপাত্ত ভুয়া’-এ বিষয়ে প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন,‘গত ১৩ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এবং এই বৃদ্ধি আইএমএফ , বিশ্বব্যাংকসহ বিশ্বের সবাই স্বীকার করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় অনেক আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছিল, এখন ভারতকেও ছাড়িয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। করোনার মধ্যে বিশ্বের মাত্র ২০ টি দেশের জিডিপির ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি শীর্ষদেশ।'
আরও পড়ুন: সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন,‘বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন- খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য-খয়রাত পাবো না। যাদের মানসিকতা এমন, তাদের তো অগ্রগতি পছন্দ হবে না। সেজন্যই তারা এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলেন।’
বিএনপি মহাসচিবের আরেক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পায়’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এবং তখন আওয়ামী লীগ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার বলুন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলুন, সেই দায়িত্ব পালন করবে। এর মধ্যে দেশে যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে, অনেকগুলোতে বিএনপিও জয়লাভ করেছে। প্রকৃতপক্ষে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। যেহেতু তাদের দুই নেতা বেগম জিয়া ও তারেক রহমান আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, সেহেতু তারা নির্বাচনে উৎসাহ হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিল: তথ্যমন্ত্রী