তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচন্ডভাবে সমালোচিত। যে দলের এই অবস্থা, সেই দলের মহাসচিব হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে, এমন বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোন একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে সে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়।'
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের গণআন্দোলনের ডাক নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'উনার বক্তব্যে মনে হচ্ছে উনি কিংবা সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুইসেল বাজাবেন, তাহলেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেব যে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন এবং প্রতিনিয়ত অবান্তর কথা বলেন, এই বক্তব্য সেটিরই হাস্যকর বহিঃপ্রকাশ।'
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবের মুখে গণআন্দোলনের ডাক শোভা পায় না: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্র। কারণ এখান থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। পরে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বের করে। পরে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচারে ব্যবহৃত কালুরঘাটের সেই ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে। এটি কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীনতা পার্কে ছোট্ট জাদুঘর করে সেখানে রাখা হবে।'
রেডিও যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছে, একইভাবে দেশ গঠনেও অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। বেতার যাতে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে আরও জোরালো ভুমিকা রাখতে পারে সেজন্য এর উন্নয়নে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বেতারের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার, উপবার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর