বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রচার সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার পাশে ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুধু জনগণের কল্যাণের জন্য।
বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি হচ্ছে মানুষ পোড়ানো উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ কি তাদের চায়? না, জনগণ তাদের চায় না।
তিনি বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য দেশের উন্নয়ন করি, তখন বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ করে।
এই প্রসঙ্গে তিনি ট্রেনে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের হামলার কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা একজন মা ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
তিনি ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করে বলেন, তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও একই কাজ করেছিল। এখন তারা আবারও অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি-জামায়াতের এসব কাজের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মিত্র জামায়াত একাত্তরের গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ, মানুষ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
তাদের কয়েকজন নেতাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এক পক্ষ সন্ত্রাসী, খুনি, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী, অর্থ পাচারে জড়িত, এতিমের টাকা পাচারকারী এবং সব ধরনের অপকর্মে জড়িত; আর অন্যটি যুদ্ধাপরাধীদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ‘তারা এটা বানচাল করতে চায়, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা সবাই ৭ জানুয়ারি সকালে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার প্রতীক কী হবে? তা হবে নৌকা।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে জনগণের সেবা করার জন্য শেখ হাসিনা আবারও জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন কীভাবে মহানবী নূহ (আ.) এর নৌকা মহাপ্লাবনের সময় মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালে মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী