বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি বলছে, সর্বশক্তি নিয়োগ করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। ২০১৮ সালের আগেও তারা ডান, বাম, অতিবাম সবাইকে নিয়ে ঐক্য করেছিল, সেই ঐক্যের শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।’
রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পডুন: বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও তারা সেই আগের মতো কাগুজে ঐক্য করলেও করতে পারেন। তবে আগের ঐক্য যেহেতু শুধু হাওয়ায় মিলিয়েই যায়নি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্যও দেখা গেছে, সেজন্য তারা আবার ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে কিছু শুরু করেছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব নেতারা আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। আর বিএনপির নেতারা বলছেন, ভিন্ন কথা। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সাফল্য, শেখ হাসিনার সাফল্য দেখেও দেখেন না, চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। তারা শুনেও শোনেন না, বুঝেও বোঝেন না, দেখেও দেখেন না, বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেরকম।’
আরও পডুন: ২১০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিদিনের বাগাড়ম্বর শুনতে শুনতে জনগণের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। খালি কলসি যেমন বেশি বাজে, বিএনপিও ঠিক সেরকম বেশি বাজে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, কদিন বিরতি দিয়ে এখন রিজভী সাহেব বাজেন, গয়েশ্বর বাবু তালে বেতালে বাজেন। এনিয়ে জনগণের মধ্যে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন খুব বেশি দিন বাকি নেই। দু'বছরের একটু বেশি সময় পরেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যদি সাংগঠনিক পুরো শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে ২০১৮ সালের মতোই ধস নামানো বিজয় ইনশাল্লাহ আমাদের হবে।’
আরও পডুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রী
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।