দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে বিএনপির কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী কালো ব্যাজ পরে বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান।
তারা সেখানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছে জাতি
আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকার বিচলিত: বিএনপি
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রিজভী বলেন, ‘বায়ান্নর রক্তস্নাত অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি আমাদেরকে আজও উদ্বুদ্ধ করে, যখন দেখি আজও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এক দলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্রের রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। বায়ান্নর চেতনা আমাদেরকে শাণিত করেছে, ধারাল করেছে বলেই আজও আমরা দৈত্যের ন্যায় এই কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছি।'
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের পেছনে রয়েছে অধিকার হারানোর বেদনা। আর অধিকার হারানোর বেদনা থেকেই অধিকার প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। এই আন্দোলনগুলো আমাদের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে অনুপ্রেরণা জোগায় এবং সাহসী করে তোলে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়াকে বন্দী করেছে। তাকে বন্দী না করলে দিনের ভোট রাতে করা যেত না। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেত না। সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেই আজ তিন বছর বেগম খালেদা জিয়া বন্দী।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, সরকার গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ এবং অমর একুশের চেতনা ‘নষ্ট’ করেছে।
‘আমরা বর্তমান অনির্বাচিত, অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এই দিনটিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় খালেদার কাছে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতারা
বিএনপির কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না: কাদের
বর্তমান সরকারের কোনো বৈধতা নেই উল্লেখ করে আমান অনতিবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যারা মাতৃভাষা বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন যা শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করতে উৎসাহিত করে।